আজ || শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


গোপালপুরে নজীরবিহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে গ্রাহক

কে এম মিঠু, গোপালপুর :

aa (12222)গোপালপুরে নজীরবিহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ঘনঘন লোড শেডিংয়ে নিদারুন দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পরেছে প্রায় পৌনে এক লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক। চাপা ক্ষোভ আর নানা অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বিদ্যুত অফিস ভাংচুরসহ অপ্রিতিকর ঘটনা।

জানা যায়, ১৯৭৪ সালে গোপালপুর পৌরসভায় পিডিবি ও ১৯৮৯ সালে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রামাঞ্চলে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ২০০৫ সালে পল্লী বিদ্যুৎ পিডিবির নিকট থেকে পৌরএলাকা অধিগ্রহন করে সমগ্র উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব পায়। কিন্তু গোপালপুরে বিদ্যুতের নিজস্ব সাবস্টেশন এবং ৩৩ কেভি লাইন না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাশ^বর্তী ধনবাড়ি উপজেলার হাজরাবাড়ি এবং ঘাটাইল উপজেলার শাহপুর সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে গ্রাহকরা নিদারুন দুর্ভোগ পোহায়। সারা বছর রাতদিনে ৫/৬ ঘন্টা বিদ্যুত পেতো গোপালপুরবাসী। ফলে সেচ ব্যবস্থায় অচলাবস্থাসহ বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার বেশকটি ছোটছোট শিল্পকারখানা। গোপালপুরবাসী মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্যত্র স্থায়ীভাবে বসবাসসহ গড়ে তুলেছে নানা ব্যবসাবানিজ্য আর শিল্পকারখানা।

গত বছর গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদারের হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎ সঙ্কট নিরসনে উপজেলার পৌনে এক লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহকের নিদারুন দুর্ভোগ ও ভোগান্তির অবসান ঘটাতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্র্ড উপজেলার চর নলহরা গ্রামে ৩৩ শতাংশ জমিতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুকাক্ষিত ১০ এমভিএ একটি সাবস্টেশন এবং ৩০ কিলো ৩৩ কেভি ও ব্যাকবোন লাইন নির্মান করলেও এখন পর্যন্ত কোন রকম সুবিধা পায়নি এ উপজেলা বিদ্যুত গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরন সেই আগের মতোই। ফিকে হয়ে গেছ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বিপুল আশার সঞ্চার।

গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে এ উপজেলায় আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যূতের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। দিনরাত ২৪ ঘন্টায় ৩/৪ ঘন্টার বেশি আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ পাইনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়নের কথা বললেও আমরা গোপালপুরবাসী তার সুফল কখনোই পাইনি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দরুন পৌরশহরে পানি সরবরাহ প্রায়ই বন্ধ থাকায় পৌরবাসির জীবন হাঁফিয়ে উঠেছে। বেড়ে গেছে এলাকায় চুরিচামারি। বিগত দিনে বিদ্যুতের দাবিতে অফিস ভাংচুর, অবস্থান ধর্মঘট এবং হরতাল পালন করেও আমরা গ্রাহকরা নজীরবিহীন বিদ্যুৎ সংকট থেকে নিস্কৃতি পাইনি।

গোপালপুর জোনাল ডিজিএম নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলেন, এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে পিকআওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১২ মেঘাওয়াট। ননপিকআওয়ারে ১০ মেঘাওয়াট। সরবরাহ করা হয় যথাক্রমে ৫ ও ৩ মেঘাওয়াট। ফলে নজীরবিহীন সংকট লেগেই থাকে।

ঘাটাইল পিডিবির কর্মকর্তারা জানান, পিডিবির গ্রাহকদের নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব। বাড়তি বিদ্যুৎ থাকলে পল্লী বিদ্যুৎ পাবে। এ ক্ষেত্রে তাদের করনীয় কিছু নেই।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!